আলোচনা-সমালোচনা-আর-আনুষ্ঠানিকতার-মাঝে-নিজেকে-সীমাবদ্ধ-না-রেখে-দায়িত্ব-নিয়ে-ডেঙ্গু-প্রতিরোধে-কাজ-করার-আহ্বান-শিক্ষা-উপমন্ত্রীর
Wellcome to National Portal



Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ August ২০১৯

আলোচনা, সমালোচনা আর আনুষ্ঠানিকতার মাঝে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে দায়িত্ব নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করার আহ্বান শিক্ষা উপমন্ত্রীর


প্রকাশন তারিখ : 2019-08-07

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন আলোচনা, সমালোচনা আর আনুষ্ঠানিকতার ভেতর নিজেকে আবদ্ধ না রেখে  আসুন আমরা নিজেরাই সচেতন হই। এ মুহুর্ত থেকেই নিজ নিজ পরিবারের দায়িত্ব নেই। এতেকরে শুধু ডেঙ্গু নয় সকল নাগরিক সমস্যা আর সংকটের সমাধান হবে।

তিনি আজ সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনা সৃষ্টি ও মশক নিধন কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া। এছাড়াও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ রুহুল মোমেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল আলীম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের কনসালটেন্ট ড. মিজানুর রহমান কল্লোল প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।

উপমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেমনভাবে কাঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে, ঠিক একই ভাবে সকলের সহযোগিতায় ডেঙ্গুর প্রকোপও নির্মুল করা সম্ভব হবে। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করছে।তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদীভাবে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ ও নির্মূল করার জন্য দেশের বিভিন্ন গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের একসাথে করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন এজেন্সির সাথে একত্রে কাজ করবে। সরকারের প্রচেষ্টার পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ আঙ্গিনা ও আবাসস্থল পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, এতে করে স্বল্পসময়ের জন্য হলেও ডেঙ্গু থেকে আমরা মুক্তি পাবো। আমাদের শিক্ষায় গবেষণায় যে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে এডিশ মশা নিধনে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন,মশা নিধনে নতুন যে ঔষধ আনা হবে তাতে মশা মরবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আমার মতে মশা ধমনে একমাত্র উপায় হচ্ছে আমাদের সচেতনতা। আমরা নিজ নিজ যায়গা থেকে সচেতন হলে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা যে কোন ধরনের সহাযতা করার চেষ্টা করবো।

এরপর ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি উপলক্ষে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ভাষা শহীদ রফিক ভবন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং র‌্যালিতে উপমন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মশক নিধন কর্মসূচি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালিত হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলেই অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য: ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনা সৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়  গত  ২৫  জুলাই ২০১৯ ও ৩০ জুলাই ২০১৯  তারিখে পৃথক দুইটি পরিপত্র জারি করেছে । পরিপত্রের মাধ্যমে  মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থা এবং বিভাগীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস ও নিজ-নিজ বাসস্থানে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বনসহ নিমোক্ত ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শণে যান।

১.১ নিজ নিজ অফিস গৃহ, আঙ্গিনা ও আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে;

১.২ নিজ নিজ বাসস্থান পরিষ্কার রাখতে হবে এবং জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে হবে;

১.৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠোনসমূহে সৌন্দর্য বর্ধণের জন্য রাখা ফুলের টব, বাসস্থানের ছাদ বাগানসহ পানি জমে থাকে এমন সকল পাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখতে হবে;

১.৪ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়সমূহ শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে হবে।

১.৫ খেলার মাঠ ও ভবনসমূহ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে;

১.৬ মাঠ কিংবা ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেরতে হবে;

২.০ প্রতি সপ্তাহে একটি দিন নির্ধারণ করে এ কার্যক্রম নিয়মিত করতে হবে।

৩.০ এ কার্যক্রমের বিষয়ে আগামী ০৪ আগস্টের মধ্যে প্রথমবার এবং এর পরবর্তী প্রতি মাসের ০১ তারিখে  একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করতে  বলা হয়েছে।